সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় অধস্তন আদালতের এক হাজারের বেশি বিচারককে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে জেলা ও দায়রা জজ পদে উন্নীত করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী বিচারকদের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, এবং সহকারী বিচারকদের সিনিয়র সহকারী বিচারক পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বহাল হচ্ছে না
সভায় আলোচিত হয় ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বেগম মোছাম্মৎ কামরুন্নাহার-এর বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বহালের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব। তবে বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় ফুলকোর্ট সভায় প্রস্তাবটি নাকচ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর, ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকা অবস্থায় এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার বিচারিক ক্ষমতা স্থগিত করেন। পরদিন সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে তাকে ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় তার বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বহালের প্রস্তাব পাঠালেও বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা তা গ্রহণ করেনি।
সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হয়নি
সূত্র আরও জানায়, সরকারের বার্ষিক ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায়, ফুলকোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ক্যালেন্ডারও চূড়ান্ত করা হয়নি। ক্যালেন্ডার প্রকাশের পর পরবর্তী সভায় তা অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তে বিচার বিভাগে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি ও কাঠামোগত পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।