সর্বশেষ

ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৩৩
ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন সিরাজগঞ্জের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রাকিবুল হাসান। জনস্বার্থে করা এই রিটে তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের বিয়ে সামাজিক ও আইনগতভাবে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে বৈধতা দেয়, যা বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

 

২২ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাকিবুল হাসান। রিটে স্বরাষ্ট্র, আইন, নারী ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

 

রিটে সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদীর বিয়ের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালতের অনুমতি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়, যেখানে নোবেলের ছবি ও বিয়ের আয়োজনকে অনেকটা সাফল্যের খবর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

 

রিটে বলা হয়েছে, এটি প্রথম ঘটনা নয়—এর আগেও আদালত ও কারাগার প্রাঙ্গণে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারী বা কন্যাশিশুর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে অপরাধীরা সহজেই জামিন পায় এবং বিচার প্রক্রিয়া থেকে পার পেয়ে যায়। কখনও সালিশ, কখনও আপস-মীমাংসা, কখনও বিয়ে এইসব পন্থায় ধর্ষণের মতো অপরাধকে লঘু করে দেখা হয়।

 

রিটে আরও বলা হয়েছে, “ধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে বিয়ে দিলেই অপরাধ কমে যায় না। অপরাধের জায়গাতেই থাকে। বাদীপক্ষ চাইলেও আইন তার অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে না। যা অপরাধ, তা অপরাধই।”

 

এই ধরনের বিয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের আশকারা দেওয়া হয়, যা ভবিষ্যতে আরও অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। তাই রিটে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যেন ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

সব খবর