অবৈধ সম্পদ অর্জন ও গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার একদিন পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও মূসক আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে বদলি করা হয়েছে। বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, বদলি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং গোপনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীতে জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন।
বেলাল চৌধুরী এর আগে প্রশিক্ষণের সরকারি আদেশ (জিও) ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করায় বিতর্কিত হন। এ নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেছেন তিনি।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনাল একটি আধা-বিচারিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে করদাতা ও ব্যবসায়ীরা এনবিআরের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এসব আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি করেন।
দুদকের মামলার সঙ্গে বদলির সম্পর্ক আছে কি না—জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “বদলি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে দুদকের মামলারও একটা ভূমিকা আছে।”
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হওয়ার পর কাউকে অন্যত্র বদলি করা গ্রহণযোগ্য নয়। এটি অপকর্মের ক্ষেত্র পরিবর্তন করে নতুন সুযোগ দেওয়ার শামিল।” তিনি অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার দাবি জানান।