সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দায়িত্ব ও কাজের জন্য প্রদত্ত সম্মানী ও পারিতোষিক হার পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। সোমবার (২০ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি-২ শাখা থেকে জারি করা একটি পরিপত্রে নতুন এই হার নির্ধারণ করা হয়। পরিপত্রে বলা হয়েছে, আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য জনপ্রতি সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। একইভাবে, বিভাগীয় নির্বাচন বা পদোন্নতি কমিটির সদস্যরা প্রতি সভায় জনপ্রতি ৬ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন। মৌখিক বা ব্যবহারিক পরীক্ষার বোর্ডের সদস্য ও বিশেষজ্ঞদের জন্যও প্রতিদিনের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
এ ছাড়া, পূর্ণ উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য ১৩০ টাকা এবং অবজেকটিভ টাইপ উত্তরপত্রের জন্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। লিখিত, মৌখিক বা ব্যবহারিক পরীক্ষা পরিচালনা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়নের সময় আপ্যায়ন ব্যয় (দুপুর বা রাতের খাবার) জনপ্রতি ৫০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও নাশতার ভাতা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন পরিপত্রে আরও বলা হয়, পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও সম্মানী হালনাগাদ করা হয়েছে। নবম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা প্রতিদিন পাবেন ১,২০০ টাকা, ১০ম থেকে ১৬তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাবেন ১,০০০ টাকা, এবং ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।
এ ছাড়া, খাতা মূল্যায়নের জন্য ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। পরীক্ষার ভেন্যুতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান বা তাঁর মনোনীত সমন্বয়কারী পাবেন ৩,৫০০ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত হার পরিবর্তন না হওয়ায় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের মতে, এ পদক্ষেপের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়বে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।