দেশের মসজিদ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের স্বার্থ রক্ষায় একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত এই নীতিমালা চলতি অক্টোবর মাসেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাদের মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে।
কর্মশালায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব শেখ মুর্শিদুল ইসলাম সংশোধিত খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা, মহাসচিব মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি কাসেম শরীফ এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার।
বক্তারা মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালাকে সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, এটি সমাজ গঠনের কেন্দ্রবিন্দু। তাই এর পরিচালনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি।
কর্মশালায় দেশের অর্ধশতাধিক শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা অংশগ্রহণ করেন এবং নীতিমালার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত প্রদান করেন। অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে মসজিদ পরিচালনায় দীর্ঘদিনের নানা জটিলতা ও অনিয়ম দূর হবে এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মর্যাদা ও অধিকার আরও সুসংহত হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সরকার চায় মসজিদ ব্যবস্থাপনায় একটি সমন্বিত, আধুনিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন কাঠামো গড়ে তুলতে, যা দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।