সর্বশেষ

রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ কেন দরকার পড়লো?

কূটনীতি ডেস্ক বিডি ভয়েস
প্রকাশিত: ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৯:৫১
রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ কেন দরকার পড়লো?

বিদেশে বাংলাদেশের ৮২টি দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রায় ৭০টি মিশন থেকে ছবি সরানো হয়, আর বাকি ১২টি মিশনে গত ১৫ আগস্ট মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসেও রাষ্ট্রপতির ছবি প্রদর্শন বন্ধ রয়েছে, তাই বিদেশি মিশন থেকেও তা সরানো হয়েছে।

 

তবে এই সিদ্ধান্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক কূটনীতিকরা। তাদের মতে, বিষয়টি আইনিভাবে করা যেত এবং কেবিনেটের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব ছিল। এক বছর পর মৌখিক নির্দেশে ছবি সরানোয় প্রশাসনিক জটিলতা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে কেবিনেটের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সরকার চাইলে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারতো।”

 

রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হয় এবং তার নির্দেশে রাষ্ট্রদূত আইনি ক্ষমতা পান। ফলে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা বা তাকে অসম্মানজনকভাবে উপেক্ষা করা হলে রাষ্ট্রদূতের আইনি ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে তা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

আরেক কূটনীতিক বলেন, “সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে কারও ছবি টানানো হবে না, সেটি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করে সিদ্ধান্ত হলে তা রাষ্ট্রদূতদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।”

 

আইনি কাঠামোর দিক থেকে বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছবি প্রদর্শন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের একটি মনস্তাত্ত্বিক ও সাংবিধানিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই মৌখিক নির্দেশের বদলে লিখিত ও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি ছিল।

সব খবর

আরও পড়ুন

পছন্দের সরকারই দিল অপ্রস্তুত করে দেয়া রায়, অস্বস্তিতে বিএনপি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরল, কিন্তু কার্যকর ৬ বছর পর পছন্দের সরকারই দিল অপ্রস্তুত করে দেয়া রায়, অস্বস্তিতে বিএনপি

লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের তড়িঘড়ি বিদেশি চুক্তি নিয়ে তীব্র বিতর্ক

অবশেষে বিদেশিদের হাতে জাতীয় সম্পদ লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের তড়িঘড়ি বিদেশি চুক্তি নিয়ে তীব্র বিতর্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধ ম্যান্ডেটকে ছাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামোর নীতিগত অনুমোদন

জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধ ম্যান্ডেটকে ছাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামোর নীতিগত অনুমোদন

পুলিশকে ‘দেখামাত্র গুলি’ নির্দেশে মানবাধিকারকর্মীদের তীব্র সমালোচনা

পুলিশকে ‘দেখামাত্র গুলি’ নির্দেশে মানবাধিকারকর্মীদের তীব্র সমালোচনা

বাংলাদেশি পাসপোর্ট হয়েছে আরও দুর্বল, বাড়িয়েছে ভিসা জটিলতা

নেপথ্যে ৫ আগস্ট বাংলাদেশি পাসপোর্ট হয়েছে আরও দুর্বল, বাড়িয়েছে ভিসা জটিলতা

নভেম্বরেও ডেঙ্গুর আগ্রাসী প্রকোপ

মশক নিধনে ব্যর্থতা নভেম্বরেও ডেঙ্গুর আগ্রাসী প্রকোপ

রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নাকি ইউনূস ঘনিষ্টদের নিরাপদে দেশত্যাগের বন্দোবস্ত?

কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নাকি ইউনূস ঘনিষ্টদের নিরাপদে দেশত্যাগের বন্দোবস্ত?

বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান

ব্রিটিশ এমপি ব্ল্যাকম্যানের বিবৃতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান