সর্বশেষ

সার্ক পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বারোপ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

কূটনীতি ডেস্ক বিডি ভয়েস
প্রকাশিত: ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১:০৬
সার্ক পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বারোপ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, তরুণ প্রজন্মের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

ইসহাক দার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেন। জবাবে অধ্যাপক ইউনূসও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে শরিফের সঙ্গে অতীতের সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “প্রতিবার আমাদের আলোচনায় সার্ক নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন— সার্ক আমাদের উভয়ের কাছেই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।”

 

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনীতি পরিপূরক, তাই বিভিন্ন খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি অধ্যাপক ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচন ও কমিউনিটি ভিত্তিক উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান যে, আপনার মতো একজন সরকারপ্রধান পেয়েছে। আপনি বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছেন।”

 

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। আমি সার্ককে উৎসাহিত করি এবং পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি হিসেবে দেখি।”

 

তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্বও তুলে ধরে বলেন, “যখন পাকিস্তানি শিল্পীরা বাংলাদেশে গান পরিবেশনা করেন, সবাই তাদের প্রশংসা করে। এই সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে হবে।”

 

১৩ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইসহাক দার বিশেষ গুরুত্ব বহন করছেন। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্য ও জ্বালানি উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে নৌ ও বিমান যোগাযোগ উন্নত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “অক্টোবরের মধ্যে ফ্লাই জিন্নাহ ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পিআইএ বেসরকারিকরণের পর ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

 

বৈঠকে উভয় নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আনবে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

সব খবর