সর্বশেষ

কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১৯৬ বিদেশি

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২১
কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১৯৬ বিদেশি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বড় ধরনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৯৬ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। শুক্রবার রাতে চৌ কিট এলাকার পাকিস্তানি খাবারের রেস্তোরাঁ ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘিরে এ অভিযান চালানো হয়।

 

অন্তত ৭০০ মিটার দীর্ঘ এলাকায় অবস্থিত ৪৫টি রেস্তোরাঁ, খুচরা দোকান ও হোটেলে হানা দিয়ে প্রায় ৪০০ জন বিদেশি ও স্থানীয়কে তল্লাশি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আট দেশের নাগরিকদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জর্ডান, নেপাল, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন।

 

ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, অভিযানে তিনজন স্থানীয়কেও আটক করা হয়েছে, যারা অবৈধ অভিবাসী নিয়োগে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, “অনেক রেস্তোরাঁ মালিক বৈধ কর্মীদের আড়ালে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে লাগাচ্ছেন। এ ধরনের ধূর্ত কৌশলের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

 

অভিযানে ইমিগ্রেশন বিভাগের পাশাপাশি ডিবিকেএল, কেপিডিএন এবং রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়। ১৯৭৪ সালের আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫২টি টেবিল ও ২০৪টি চেয়ার জব্দ করা হয়। কেপিডিএন ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিকে মোট ৫,৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করে এবং কোম্পানি কমিশন (এসএসএম) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতটি কম্পাউন্ড জারি করে।

 

কোন দেশের কতজন নাগরিক আটক হয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধির আওতায় অবৈধভাবে অবস্থান, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা ব্যবহার এবং কাজের পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি আরও বলেন, “রাজধানীতে গড়ে ওঠা তথাকথিত ‘ছোট পাকিস্তান’-এর মতো এলাকাগুলোকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।” তিনি জনগণকে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

 

মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সব খবর