আবরার ফাহাদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পৃথিবীর তিনটি শক্তি—দুটি আঞ্চলিক ও একটি বৈশ্বিক—এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “এই তিন শক্তির প্রত্যেকের দ্বারাই আমাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক নীতির ওপর ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ‘মতপ্রকাশ থেকে মৃত্যু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। আবরার হত্যার প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে সালাউদ্দিন বলেন, “আমার নির্বাসিত জীবনে এই একটি ঘটনায় আমি সবচেয়ে বেশি ব্যথিত হয়েছিলাম। আমি দেখেছি, তরুণ সমাজের ভেতরে দেশপ্রেম ও প্রতিরোধের আগুন জ্বলছে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের পক্ষে কথা বলে, তারা নতুন প্রজন্মের প্রতীক। এক আবরারের রক্ত থেকে হাজার আবরার জন্ম নেবে।”
তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগকে শুধু আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ দিয়ে বিশ্লেষণ করা যাবে না। এটি ঐতিহাসিক ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে। “জুলাই অভ্যুত্থানের ভিত্তি তৈরি হয়েছে আবরারদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে,” মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন। তিনি আরও বলেন, “এই সিঁড়ি তৈরি হয়েছে শাপলা চত্বরে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে, অসংখ্য ছাত্র-যুবকের আত্মত্যাগের পথ মাড়িয়ে।”
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে হয়তো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বললে জেলে যেতে হতো, কিন্তু ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবন দিতে হতো—সেটা আমরা বুঝেছি।” তিনি বলেন, “আমাদের নীতি হবে—সবার আগে বাংলাদেশ। এই তিনটি শব্দেই জাতির মুক্তির পথ নিহিত আছে।”
সভায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “২০১৯ সালে রাতে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এটি অকল্পনীয়। ছাত্রদল এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ জানিয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “যারা হত্যার পাঁচ দিন আগেও ছাত্রলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছে, আজ তারা সাহসিকতার গল্প শোনায়।”