কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃহৎ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গণগ্রেপ্তারের মুখেও তারা রাজপথে অবস্থান নিয়ে স্লোগান ও মিছিল করেছে।
বুধবার দুপুর থেকে গুলিস্তান, ফার্মগেইট, আগারগাঁও, কারওয়ান বাজার, পান্থপথসহ বেশ কিছু এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বের হন ঝটিকা মিছিলে।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, এসব মিছিল থেকে এখন পর্যন্ত ২৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ১৪টি ককটেল ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবী করে পুলিশ।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আনুগত্য ও গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেন। গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিল ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে এগিয়ে যায় আহাদ পুলিশ বক্সের দিকে। একই সময়ে ফার্মগেইট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায়ও মিছিল হয়।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, “খামারবাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ফার্মগেইটের দিকে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রাজধানীর উত্তরা, ফার্মগেইট, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের ২৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে সংগঠিত হয়েছিলেন।”
আওয়ামী লীগপন্থী নেতাকর্মীরা মনে করেন, এসব মিছিল প্রমাণ করেছে দলের প্রতি মানুষের আস্থা ও জনপ্রিয়তা এখনও অটুট রয়েছে। তারা মনে করছেন, গণগ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজপথে দলের উপস্থিতি ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ এখনো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি। তাই গণআন্দোলন দমনে যতই চাপ প্রয়োগ করা হোক, নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙা সম্ভব নয়। মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দলের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।