জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিলে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তবে এ কথা বললেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’ বলা হয় বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত কয়েক মাসে জাতীয় রাজনীতিতে দল ও নিজেকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে থাকলেও নীরব ছিলেন জি এম কাদের। সম্প্রতি চাউর হয় যে জাতীয় পার্টিকে আবারও একটি ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের ভোটের জোরেই দলটিকে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও নৌকার ভোট লাঙ্গলে পড়বে বলে আত্মবিশ্বাসী জি এম কাদের।
তার ভাষ্য, “আওয়ামী লীগের ভোটাররা কি ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন? তাদের নাগরিকত্ব কি বাতিল হয়েছে? যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে তারা নিশ্চয়ই ভোট দেবেন। তারা চাইলে আমাদেরও ভোট দিতে পারেন। আবার বিএনপি যদি ভালো সুযোগ-সুবিধা দেয় এবং জেতার পর বিরক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে তাদের ভোটও পেতে পারে। তবে জামায়াত কোনোভাবেই ভোট পাবে না।”
জামায়াত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জি এম কাদের বলেন, তখনও জাতীয় পার্টি আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু এসব পদক্ষেপ দেশের জন্য ইতিবাচক হয়নি। তার দাবি, সবাইকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে, নইলে তা কখনোই ভালো হবে না।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জি এম কাদের বলেন, বিএনপিকে কোণঠাসা করে জামায়াতকে সামনে আনার চেষ্টা চলছে। তবে নির্বাচন এই অন্তর্বর্তী সরকার নয়, বরং নতুন সরকারের অধীনে হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি দলীয় ভাঙনের পর জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জি এম কাদের মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই।