অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। রাজধানীর অন্তত ৩৫টি স্থানে একযোগে এসব বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২১ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিলগুলো হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী পৃথকভাবে মিছিল বের করে বিভিন্ন স্থানে সমবেত হন।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা, জয়কালী মন্দির মোড়, যাত্রাবাড়ী, মৎস্য ভবন, ও আশপাশের এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। অন্যদিকে, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, আগারগাঁও, এলিফ্যান্ট রোড, কুর্মিটোলা, মিরপুর কাজিপাড়া, গাবতলী, পান্থপথ, উত্তরা জসীম উদ্দিন সড়ক, ও খিলক্ষেত এলাকাতেও পৃথক মিছিল হয়।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, “অবৈধ সরকার পদত্যাগ কর”, “ড. ইউনূসের পদত্যাগ চাই”, “দমন-পীড়ন বন্ধ কর” ইত্যাদি। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক প্রতিশোধের পথ বেছে নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। তাঁরা বলেন, “দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই সরকারের বিদায় অনিবার্য।”
বিক্ষোভ থেকে নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেন এবং অবিলম্বে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করেন। পাশাপাশি, শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, দমন-পীড়ন বন্ধ, এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি দ্রুত পদত্যাগ না করে, তবে “রাজপথে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে” তাদের বিদায় নিশ্চিত করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এই বিক্ষোভ ঢাকার রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান এবং আওয়ামী লীগের পরবর্তী কৌশল এখন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের নজরে।