একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে জামায়াতে ইসলামকে সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি তোলেন।
আলাল বলেন, “একাত্তরের গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতে পারে—তাহলে একই অপরাধে জামায়াতও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।” তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটাধিকার হরণ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের দায়ে আওয়ামী লীগকে আদালত নিষিদ্ধের পথে ঠেলে দিয়েছে। “কিন্তু একই অপরাধে দুই ধরনের বিচার হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেই আমি বলছি—জামায়াত ও তাদের সংগঠন শিবিরের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা জরুরি,” যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকার থেকে জামায়াত সুবিধা পেয়েছে। অনেক শীর্ষ নেতা একসময় জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন, এমনকি তথাকথিত ‘গলাকাটা পার্টির’ সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, শিবিরের বহু সদস্য ছাত্রলীগে সক্রিয় ছিল। এখন তারা প্রকাশ্যে স্বীকারও করছে।”
জামায়াতের নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন আলাল। তার দাবি, জামায়াত এখন হিন্দু সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে সমাবেশ করছে, যেন বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। “বিএনপি এমন এক অর্জুন গাছের ছালের মতো— যার যার প্রয়োজনমতো ব্যবহার করে,” মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাল বলেন, দেশ এখন ‘বহুরূপীদের খপ্পরে’ পড়েছে। তবে এ অবস্থায় বিএনপির করণীয় হলো ধৈর্য ধরে সময়ের অপেক্ষা করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হবে।