বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান ও তাঁর ছবিতে জুতা নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ’। এ ঘটনায় সংগঠনটি তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সংগঠনের আহ্বায়ক রোকেয়া প্রাচী ও সদস্য সচিব এফ এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত সন্তান, রাজনীতিক ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব থাকায় তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করা হয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, “এই অপমান কেবল একজন ব্যক্তির প্রতি নয়, বরং পুরো মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা সমাজ ও জাতীয় ইতিহাসের প্রতি অবমাননা।”
বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সম্মান রক্ষাকে নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার প্রতি অপমান কোনোভাবেই সহ্যযোগ্য নয়। পরিষদ অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায়।
প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, আক্তার জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সাংবাদিক ফজলুল বারি, চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক, কবি-লেখক-গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক সাংস্কৃতিক ও প্রবাসী সংগঠক স্বাক্ষর করেছেন।
তাঁরা মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা জাতীয় চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাসের ওপর আঘাত। বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি গোষ্ঠী যখন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ও ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কণ্ঠস্বর ফজলুর রহমানকে অপমানের মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ’ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রক্ষায় সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করারও আহ্বান জানানো হয়।