ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মোহাম্মদ ইসহাক দার রোববার (২৪ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে আলাদা সাক্ষাৎ করবেন। কূটনৈতিক মহল ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এ সাক্ষাৎ দুটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ফিরোজায় খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
অন্যদিকে কূটনৈতিক ও জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানের বাসায় গিয়ে কুশল বিনিময় করবেন ইসহাক দার। হার্টে বাইপাস সার্জারির পর তিনি বর্তমানে বিশ্রামে আছেন।
এর আগে শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে জামায়াতে ইসলামীর একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন ও সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে। বৈঠকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দারসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার দুপুরে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম। প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সফরকালে ইসহাক দার বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াত আমীরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকে কূটনৈতিক মহল বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে সরব উপস্থিতি জানাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।