বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশের চলমান সংকট অনেকটাই এড়ানো যেত। তিনি বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, ব্যাংকে টাকা তোলার সীমা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে দ্রুত নির্বাচন জরুরি।”
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, “জুলাই সনদ ও সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের বিকল্প নেই।” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে জটিল করে তুলছে। “সংস্কার” বা “পিআর পদ্ধতি” সাধারণ মানুষের কাছে অপরিচিত, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিন। তখন বলা হয়েছিল, আমি শুধু ক্ষমতায় যেতে চাই। কিন্তু আমরা অতীতে দেখেছি, পরিবর্তনের সুযোগ অন্যরা নিয়ে নেয়।”
সরকারের একটি মহল গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে ঠেকাতে সচেষ্ট বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “নিউইয়র্কে আমাদের উপদেষ্টার ওপর হামলা হচ্ছে, এর আগে পত্রিকায় দেখা যেতো ব্যাংক লুটেরারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছে। এসব দেখে প্রশ্ন জাগে, আমরা কোথায় যাব?”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু প্রমুখ। বক্তারা কাজী জাফরের রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা তিনিই দিয়েছিলেন ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।