রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খবর পেয়ে বনানী থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কলেজ গেটে শিবিরপন্থী ছাত্ররা অবস্থান নিয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ব্যানারটি কোন পক্ষ টানাতে গিয়েছিল এবং কার উদ্যোগে তা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
তিতুমীর কলেজে এ ধরনের সংঘর্ষ নতুন নয়। অতীতেও ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস আগে, ২০২৫ সালের মে মাসে, সিট বণ্টন ইস্যুতে ছাত্রদলের বিভিন্ন শাখার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। এবারও একটি সাধারণ বিষয় দ্রুত বড় সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছে কলেজের ভেতরে রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও প্রভাব বজায় রাখার প্রতিযোগিতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। একটি ব্যানার টানানোর মতো সাধারণ ঘটনা থেকে সংঘর্ষে রূপ নেওয়া প্রমাণ করে যে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা কতটা গভীর।
স্থানীয়রা বলছেন, রাতের সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য এখন জরুরি হয়ে পড়েছে সংঘর্ষের মূল কারণ খতিয়ে দেখা এবং দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার পথ তৈরি করা। নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।