সর্বশেষ

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রহসন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সরকারি ও আধা-সরকারি দলের মধ্যে

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রহসন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সরকারি ও আধা-সরকারি দলের মধ্যে

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটি প্রকৃত অর্থে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়, বরং "নির্বাচনের নামে প্রহসন" হতে যাচ্ছে।

 

শনিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

জিএম কাদের বলেন, “ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। আমাদের দৃষ্টিতে এটি কোনও সঠিক বা পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন নয়। আমার কাছে এটি একটি নাটক বা প্রহসন বলেই মনে হচ্ছে। অতীতে শেখ হাসিনার অধীনে যেভাবে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, এবারের পরিস্থিতিও প্রায় একইরকম। কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও, এবারও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সরকারি দল ও আধা-সরকারি দলের মধ্যে।”

 

তিনি আরও বলেন, “সাধারণভাবে একটি নির্বাচন তখনই নিরপেক্ষ হয়, যখন তা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় এবং একটি পক্ষ থাকে সরকারবিরোধী প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু এখানে উভয় পক্ষই সরকার-সমর্থিত। তাই এই নির্বাচনে প্রতিপক্ষের উপস্থিতি দৃশ্যমান নয়। আমাদের আশঙ্কা, এটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের একটি প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়াবে, যেমনটি আমরা শেখ হাসিনার সময়েও দেখেছি।”

 

সরকারি ও আধা-সরকারি দলের ব্যাখ্যায় জিএম কাদের বলেন, “সরকারি দল বলতে আমরা তাদের বুঝি, যাদেরকে সরকার সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করেছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। সেই দলের সদস্যরা সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের অ্যাডভাইজাররাও এখনো মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কিছু দল যুক্ত আছে। এই দলটিই সরকারি দল হিসেবে কাজ করছে।”

 

তিনি বলেন, “অন্যদিকে, আধা-সরকারি দল হচ্ছে বিএনপি। তারা সরকারকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও, মোটামুটি ৫০ শতাংশের বেশি প্রভাব রাখছে। বর্তমানে আমরা একটি নির্বাচন দেখতে পাচ্ছি, যেখানে সরকার এবং আধা-সরকার একে অপরের প্রতিপক্ষ। তবে এখনো দেশের অর্ধেক জনগণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে।”

 

শেষে জিএম কাদের অভিযোগ করে বলেন, “যেভাবে শেখ হাসিনার সময় অর্ধেক জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচন হয়েছে, এখনো ঠিক একই কৌশলে প্রশাসনিক আদেশে সেই ধারা বজায় রাখা হচ্ছে।”

সব খবর