প্রতি দুই নারীর একজন স্বামীর সহিংসতার শিকার
বাংলাদেশে প্রতি দুইজন নারীর মধ্যে একজন স্বামীর সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ৭৬ শতাংশ নারী জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে জীবনসঙ্গীর সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা, পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ। গত এক বছরে ৪৯ শতাংশ নারী স্বামীর হাতে এমন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ
২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) বড় ধরনের পতন ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের ৭৮ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।
“জনগণের মতামত উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু জনগণ মেনে নেবে না”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো নির্বাচন পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, সংখ্যানুপাতিক (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন—পিআর) পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সত্যের অনুসন্ধান হোক নিরপেক্ষভাবে
বাংলাদেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে আবারও এক নতুন আলোচিত অধ্যায় শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া চলছে বা বিবেচনায় রয়েছে। অভিযোগগুলোর সূত্রপাত সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার নানা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত যার মধ্যে পিলখানা ট্র্যাজেডি, গুম ও হত্যার মতো সংবেদনশীল ইস্যু উল্লেখযোগ্য।
রফতানি কমছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, বিনিয়োগ স্থবির
দেশের অর্থনীতি এক অনিশ্চিত ও জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। রফতানি আয় কমছে, মূল্যস্ফীতি ফের ঊর্ধ্বমুখী, আর বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ সুদহার ও জ্বালানির ঘাটতি মিলিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে ধীর গতিতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে এখন একপ্রকার ‘ভজঘট পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে।
হয়রানি ঠেকাতে সরকার কতটা আন্তরিক?
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য অভিযোগে মামলা অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এসব মামলা অধিকাংশই হয়রানিমূলক এবং সংবাদকর্মীদের ভয়ভীতির মধ্যে রাখার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘পর্যবেক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হলেও সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির মাত্রা তাতে খুব একটা কমেনি।
সেইফ-এক্সিট: একখানা দেশত্যাগের মহাকাব্য
সাম্প্রতিক কালে ‘সেইফ-এক্সিট’ শব্দটি যেন জাতীয় অভিধানে নবজন্ম লাভ করিয়াছে। পূর্বে যাহা ছিল অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্পের সময় ভবন হইতে নিরাপদে বাহির হইবার পথ, তাহা এখন রীতিমতো রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ বলিয়া গণ্য হইতেছে। বিশেষত কতিপয় উপদেষ্টা, সমন্বয়কারী ও ছাত্রনেতাগণের মুখে এই শব্দটি এমনভাবে উচ্চারিত হইতেছে, যেন তাহারা তসবিহ হাতে লইয়া জপ করিতেছেন—“সেইফ-এক্সিট, সেইফ-এক্সিট…”
‘কলঙ্কমুক্ত’ করতে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ‘বিচারের’ আওতায় আনতে হবে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ফয়জুল করিমকে লিগ্যাল নোটিশ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।
বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বড় ধাক্কা এসেছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক ঘোষণায়। তীব্র তহবিল সংকট ও যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত অর্থ সহায়তার কারণে জাতিসংঘ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৫%) শান্তিরক্ষী বাহিনী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে শান্তিরক্ষা মিশনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের ওপর।