শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারা দেশে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। ভূমিকম্পের পর ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অন্তত সাতটি বড়–ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ঘোড়াশালের একটি প্রধান গ্রিড সাবস্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। তবে সামগ্রিক বিদ্যুৎচাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় জাতীয় গ্রিডে তৎক্ষণাৎ কোনো বড় সংকট তৈরি হয়নি।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পের পরপরই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ট্রিপের খবর পাওয়া যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সামিটের বিবিয়ানা-২’র ৩৪১ মেগাওয়াট কেন্দ্র, বিপিডিবির বিবিয়ানা-৩ (৪০০ মেগাওয়াট), আশুগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াটের বড় ইউনিট এবং ৫৫ মেগাওয়াট ও ৫০ মেগাওয়াটের ছোট দুই ইউনিট। চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিটও উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। সিরাজগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ঘোড়াশাল এআইএস গ্রিড সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ও ইনসুলেটর ভেঙে যাওয়ার কারণে ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে নরসিংদী, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং আশপাশের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
বিপিডিবির জনসংযোগ পরিচালক শামীম হাসান জানান, ভূমিকম্পের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে। কেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে পুনরায় চালু করার কাজ চলছে। তবে কিছু কেন্দ্র ও সাবস্টেশন পুনরুদ্ধারে সময় লাগতে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে কোনো কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও লোডশেডিংয়ের বড় ধরনের আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে জাতীয় গ্রিড অপারেটর পিজিসিবি এবং বিপিডিবির যৌথ টিম জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে।