আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে আজ ঢাকা ছাড়ছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আট দলের এই টুর্নামেন্টে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে।
বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতেই বাংলাদেশ যাবে শ্রীলঙ্কায়, যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলবে। এরপর দলটি পাড়ি দেবে ভারতের গুয়াহাটিতে, আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল। এরপর বিশাখাপত্তনমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মুম্বাইয়ে, যেখানে প্রতিপক্ষ হবে স্বাগতিক ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেন, “প্রস্তুতি আদর্শ হয়নি হয়তো। তবে দেশের সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে এখন ভাবতে চাই না।” তার বক্তব্যে আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি বাস্তবতাও উঠে এসেছে।
নিগার আরও জানান, বিশ্বকাপ শেষে কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন। মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) থেকে আপাতত বিরত থাকবেন তিনি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও প্রতিপক্ষ দলগুলো শক্তিশালী, তবুও নিগারদের লড়াকু মানসিকতা ও অভিজ্ঞতা দলকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, দলের প্রস্তুতি ও ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। খেলোয়াড়দের মনোবল চাঙ্গা রাখতে কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্ট নিবিড়ভাবে কাজ করছে।