বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক রঙের অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে এবার নির্বাচনকে অনেকে সরাসরি সরকার বনাম বিএনপির লড়াই হিসেবে দেখছেন।
সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে সরিয়ে গত ৩০ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত কাউন্সিলর হিসেবে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ সময় দায়িত্বে থাকার ইচ্ছা নেই। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হলে তিনিই বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকতে পারেন।
আমিনুলের এই অবস্থান পরিবর্তনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া সরাসরি প্রভাব রেখেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিনুল স্বীকারও করেছেন, অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য তাঁকে সভাপতির দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ওল্ড ডিএইচএসের কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, পরিচালক নির্বাচিত হলে তিনিও বোর্ড সভাপতি পদে লড়াই করবেন।
এখনই স্পষ্ট হয়ে গেছে, আমিনুল ইসলামকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রার্থী হিসেবে দেখছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, বিসিবির এবারের নির্বাচনে তামিম বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী।
এ নিয়ে বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক ফুটবল অধিনায়ক আমিনুল হক সমালোচনা করে বলেছেন,
“বিসিবির নির্বাচন নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার স্বৈরাচারী মনোভাব কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি ক্রিকেট খেলাটাকেই কলুষিত করছে।”
তবে তামিমের প্রতি বিএনপির সরাসরি সমর্থনের বিষয়ে মন্তব্য করতে তিনি এড়িয়ে যান।
ফলে এবারের বিসিবি নির্বাচন শুধু ক্রিকেট প্রশাসনের নেতৃত্ব নয়, বরং রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রভাবেরও বড় মঞ্চে পরিণত হচ্ছে।