কম রানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল ভারত। আসরে তিনবার মুখোমুখি হয়ে তিনবারই প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
রোববার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শক্ত অবস্থানে থেকেও হঠাৎ ব্যাটিং ধসে পড়ে পাকিস্তান। ১৩তম ওভারে এক উইকেটে ১১৩ রান থেকে মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে হারায় ৯ উইকেট। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় বাবরবাহিনী। সাহিবজাদা ফারহান ৩৮ বলে ৫৭ ও ফখর জামান ৩৫ বলে ৪৬ রান করেন। ভারতের হয়ে কুলদিপ যাদব একাই নেন ৪ উইকেট, পাশাপাশি আকসার প্যাটেল ও ভারুন চক্রবর্তী নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ২০ রানের মধ্যেই হারায় ৩ উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফের বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা। স্যামসন ও পরে শিভম দুবের সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে রোমাঞ্চকর জয়ের পথে নিয়ে যান তিনি।
শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১০ রান। হারিস রউফের করা ওভারের প্রথম বলে দুই রান, দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান তিলক। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে সমতায় পৌঁছানোর পর চতুর্থ বলে রিঙ্কু সিং চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আসরে প্রথমবার মাঠে নামা রিঙ্কু সিং খেলেন মাত্র একটি বল, আর সেটিই এনে দেয় শিরোপা।
ফাইনালের নায়ক নিঃসন্দেহে তিলক ভার্মা। তিনি ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল চারটি ছক্কা ও তিনটি চার। অন্যদিকে, শিভম দুবে খেলেন ২২ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।
পাকিস্তানের বোলাররা শেষ পর্যন্ত লড়াই জমিয়ে তুললেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই হারের কারণ। প্রথম তিন ব্যাটার ছাড়া কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের বোলাররা তাদের চাপে রেখেই ম্যাচের ভিত গড়ে দেন।
এ জয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি রেকর্ডেও একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখল ভারত। দুই দলের ১৬ বারের দেখায় ভারত জিতল ১৩টিতে, সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই জয় তাদের।
তবে এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ ঘিরে বিতর্কও ছিল তুঙ্গে। গ্রুপ পর্বে টস ও ম্যাচ শেষে হাত না মেলানো থেকে শুরু করে সংবাদ সম্মেলন বর্জন—সবকিছুই রঙ চড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে শেষ হাসি হাসল ভারতীয়রাই।