বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে। অন্তত ৪৮টি ক্লাব একত্রিত হয়ে নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে তিন দফা দাবি জানিয়েছে। দাবি না মানলে আসন্ন মৌসুমে কোনো ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব প্রতিনিধিরা লিখিতভাবে জানান, ১. বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে ২. অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে ৩. বর্তমান তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের অভিযোগ, জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলর তালিকায় সরকারি হস্তক্ষেপ হয়েছে, ক্লাব ক্যাটেগরির অধিকাংশ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই কাউন্সিলরদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপ গ্রহণ, ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার বাতিল এবং কাউন্সিলরদের আটকে রাখার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সংগঠক মাসুদউজ্জামানসহ অনেকে। তারা জানান, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে, তবে দাবি না মানলে লিগ বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।
মাসুদউজ্জামান বলেন, “আমরা চাই খেলা চলুক। কিন্তু যদি সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে লিগে না খেলার পথই নিতে হবে।”
এর আগে হাইকোর্টে করা রিটে ফারুক আহমেদ অভিযোগ করেন, দুর্নীতির তদন্তাধীন ১৫টি ক্লাবকে বেআইনিভাবে কাউন্সিলর করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছে, শুনানি হবে রবিবার।
নির্বাচনে সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তামিম ইকবালসহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলও সরে দাঁড়ান। তিনি বলেন, “আমি দেখতে চেয়েছিলাম, ওরা কতটা নিচে নামতে পারে। এখন সময় হলে সব বলব।”
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার নাম ব্যালটে থাকলেও, নির্বাচিত হলেও নতুন বোর্ডে যোগ দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে বিসিবি নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা ও বিতর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সংশ্লিষ্ট মহলে।