অনলাইনে ‘অপপ্রচার ও সাইবার বুলিং’-এর অভিযোগ তুলে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম সম্প্রতি একাধিক ব্যক্তি ও ব্যঙ্গাত্মক ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন এই মামলাকে “স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর আক্রমণ” বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থক যাদের অধিকাংশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর অভিযোগকারী নিজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠনের সদস্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন জানায়, মামলায় যেসব প্ল্যাটফর্ম বা পেজকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যঙ্গ, মিম ও রাজনৈতিক মন্তব্য প্রকাশ করে। এর মধ্যে জনপ্রিয় ব্যঙ্গাত্মক প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়ার্কি’, যা সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যঙ্গকার সিমু নাসের পরিচালনা করেন, বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যঙ্গ বা ভিন্নমত প্রকাশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার, এবং সেগুলোকে অপরাধ হিসেবে দেখানো উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই মামলা জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার দাবি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা এবং নাগরিক পরিসর পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির পর এমন মামলা বিচারবহির্ভূত চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
আর্টিকেল নাইনটিন সাদিক কায়েমকে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “রাজনৈতিক ব্যঙ্গ, সমালোচনা ও ভিন্নমত গণতান্ত্রিক সমাজের অপরিহার্য উপাদান। এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করে।”