তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সে ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব চালিয়ে এবার চিনের গুয়াংদং প্রদেশে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাগাসা’। বুধবার বিকেলের দিকে ঝড়টি তাইশান ও ঝাংজিয়াংয়ের মাঝামাঝি এলাকায় ভূমিতে আঘাত হানে। বছরের সবচেয়ে প্রবল সামুদ্রিক ঝড় হিসেবে চিহ্নিত এই টাইফুনের প্রভাবে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলছে।
তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানের বিখ্যাত পর্যটন অঞ্চল হুয়ালিয়ানের অবস্থা বিপর্যস্ত। সেনাবাহিনী উদ্ধার এবং ত্রাণ কাজে নামানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং মৃতের সংখ্যাও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চীনের গুয়াংদঙ প্রদেশে ল্যান্ডফলের সময় টাইফুন রাগাসার বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে প্রদেশটির প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল ও প্রবল বাতাসের কারণে এলাকা জুড়ে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
এদিকে, রাগাসা এখন শক্তি সঞ্চয় করে হংকংয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর জেরে দক্ষিণ চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাভাবিক জনজীবন পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং হংকংগামী ও হংকং থেকে ছাড়া প্রায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে হংকংয়ে গাছ ভেঙে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ৮০ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। হংকং এ ক্যাটাগরি-১০ সতর্কতা জারি হয়েছে, যা এ ধরনের ঝড়ের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা।
রাগাসা ফিলিপিন্সেও ভয়াবহ ধ্বংসের ছাপ রেখে গেছে। সেখানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে গাছপালা উপড়ে পড়েছে, অনেক স্থানে বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে। সোমবার থেকেই ফিলিপিন্সে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে।