দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে এবং ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে শীতের অনুভূতি তীব্র হওয়ার পাশাপাশি সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় থাকায় দেশের ওপর শীতের প্রভাব বাড়ছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাঁচ দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। বিশেষ করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৪ ডিগ্রিতে, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা না থাকলেও কিছু এলাকায় তাপমাত্রা সাময়িকভাবে আরও নিচে নামতে পারে। কুয়াশার কারণে সকালের দিকে যান চলাচল ধীর হতে পারে এবং বিমান ও নৌ চলাচলেও সতর্কতা প্রয়োজন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে ভোরের দিকে কুয়াশার প্রকোপ বজায় থাকবে এবং শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হতে পারে।